টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকেরা এখনও তাঁদের বকেয়া বেতন ও পাওনা পাননি। আজ শনিবার পর্যন্ত তাঁদের দাবির প্রতি কোনো কার্যকর সাড়া মেলেনি। শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আপাতত তিন কোটি টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দিলেও শ্রমিকেরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শ্রমিকদের দাবি, এই অর্থ জনপ্রতি মাত্র ছয় হাজার টাকার মতো পড়ে, যা দিয়ে বকেয়া বাসাভাড়াও দেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা শ্রম ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে ঈদও সেখানেই করবেন।
টিএনজেড গ্রুপের তিনটি কারখানা বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার ১৬৬ জন শ্রমিকের ১৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের একটি অংশের পাওনার কিছু পরিশোধ করা হয়।
এর আগে, টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলাম শাহীনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। তিনি কারখানার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ গতকাল হলেও শ্রমিকেরা এখনও টাকা পাননি।
বৈঠক শেষে শ্রমসচিব শ্রম ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকেরা তাঁর গাড়ি অবরোধ করেন। পরে সচিব জানান, তিন কোটি টাকা দেওয়া হবে, তবে তা মানতে নারাজ শ্রমিকেরা।
শ্রমিক নেতারা অন্তত এক মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন, যাতে শ্রমিকেরা ঈদ করতে পারেন।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, ৯৯.৫৭% কারখানা ঈদের বোনাস এবং ৯৮.৬৭% কারখানা মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। যদিও কিছু কারখানায় এখনো সমস্যা রয়ে গেছে, তবে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a comment