বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কের অপরাধে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, কেবিনেট আজ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাস করেছে। আইন উপদেষ্টা গত সপ্তাহে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরপর আমরা বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনের মতামত নিয়েছি এবং তাদের সুপারিশ অনুযায়ী যথাসাধ্য সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনার পর সংশোধিত আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন করে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইনে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত ১৩ মার্চ জানিয়েছিলেন, নতুন আইনে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। তিনি বলেন, স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মূল কাজ হবে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, যাতে রাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে পারে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলাৎকারের সংজ্ঞা নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ধর্ষণ ও বলাৎকার সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল ডিএনএ পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতা। নতুন আইনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে দুটি নতুন ডিএনএ পরীক্ষাগার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই সংশোধনী পাস হওয়ার ফলে ধর্ষণের শাস্তি আরও কঠোর ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a comment