বান্দরবানের থানচির জঙ্গলে মিলছে চিংমা খিয়াং (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ। গণধর্ষের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি । উপজেলার তিন্দু ইউপির গহীন জঙ্গলে ৫ মে বিকালে চিংমা খিয়াং এর মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত চিংমা খিয়াং (২৯) তিন্দু ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড মংখ্যং পাড়া এলাকার সন খিয়াংয়ের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সকালে জুম চাষের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে যায় চিংমা।
দুপুর পেরুনোর পরও বাড়িতে না ফেরায় পাড়ার লোকজন মিলে তাকে খুঁজতে যায়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে জঙ্গলে কোন কিছু টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখে ওই পথ অনুসরণ করে তার মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন ও নিহত চিংমা খেয়াংয়ের মরদেহটি রক্তাক্ত হওয়ায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা জানান, ঘটনাস্থলটি খুবই দুর্গম এলাকায়। সেখানে কোন নেটওয়ার্ক নেই, ঘটনাটি শোনার পর তিনি পুলিশকে অবহিত করেন এবং পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এক নারীর মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, পুলিশ ,থানচির তিন্দু ইউনিয়নের মংখ্যয় পাড়ার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছেন।
উক্ত নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করছেন যা সহিংসতা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে পুলিশকে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
Leave a comment