ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে কোতয়ালী থানার পুলিশ, রিনা বেগম নামে এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে।
রঘুনন্দনপুর এলাকার হাবিব ভিলার নিচতলা থেকে মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রিনা বেগম সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের আজহার মন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের শহীদ মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় রিনার। বিয়ের দুই বছর পর উপার্জনের জন্য সৌদি আরব যান শহীদ মোল্লা পরে রিনাকেও সেখানে নিয়ে যান। তবে কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে আসেন রিনা । দেশে ফেরার পর মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা গেছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসার ভেতর থেকে পানি বের হতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাথরুমের সামনে রিনার বিবস্ত্র মরদেহ এবং পাশের ঘরে শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে । ওষুধ ও খাবার ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন রিনাকে।
বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমান জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চলতি মাসের শুরুতে মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাসাটি ভাড়া নেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সেখানে উঠেছিলেন রিনা। ঘটনার খবর পেয়ে মনিরুলকে ফোন করা হলে আর আসেননি তিনি এবং পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
Leave a comment