বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন—স্থানীয় প্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রানী বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে ইমরান আলী (১৮)। ইদ্রিস আলী প্রায় আট বছর ধরে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুস শুকুর জানান, মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।”
এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইদ্রিস আলীর বাড়িতে কাজ করার জন্য এক রাজমিস্ত্রী আসেন। বারবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি নিহত রানী বেগমের মাকে ফোন করেন। পরে রানীর মা এসে অনেক চেষ্টা করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙেন। ভেতরে প্রবেশ করে তিনি রানী বেগম ও ইমরানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই স্থানে পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকে মালামাল লুটপাট করে। এ সময় প্রতিরোধের চেষ্টা করলে রানী বেগম ও তার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আলমারি ও ঘরের আসবাবপত্র তছনছ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত টিম কাজ করছে। হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আশাবাদী, দ্রুতই অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিবেশীরা জানান, রানী বেগম ও তার ছেলে ইমরান অত্যন্ত ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন।
Leave a comment