১৫ মে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনকে একটি ‘সরাসরি ও নিরপেক্ষ’ শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (১১ মে) ভোররাতে ক্রেমলিন থেকে দেয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘এই আলোচনা হবে দীর্ঘস্থায়ী, বাস্তব শান্তির দিকে এগোনোর প্রথম ধাপ।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্জ এবং পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের কিয়েভ সফরের কয়েক ঘণ্টা পরেই পুতিনের এই প্রস্তাব এসেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।
পুতিন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার স্থান হিসেবে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরকে বেছে নিয়েছেন । ২০২২ সালে শেষবার দুই দেশ ইস্তাম্বুলেই মুখোমুখি হয়েছিল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে রোববার বৈঠকের বিষয়ে কথা বলবেন বলে পুতিন জানিয়েছেন।
ইউক্রেন সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পুতিনের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।
এদিকে, কিয়েভ সফর শেষে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় চার নেতা রাশিয়ার প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে এই দাবিকে ‘তাৎক্ষণিক ও বাধ্যতামূলক’ বলে উল্লেখ করেন।
রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রসর না হয়, তবে তাদের জ্বালানি ও ব্যাংক খাতে নতুন এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে চার ইউরোপীয় নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন ।
তারা আরও জানান, এই প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে এবং তিনি এর ‘সম্পূর্ণ সমর্থন’ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ‘আমরা ভাবছি। তবে আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কিছু আদায় করা যাবে না।’
রাশিয়া সম্প্রতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিপক্ষে বিজয় উপলক্ষ্যে তিনদিনের একপাক্ষিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। তবে উভয় পক্ষই এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
ইউক্রেনের দাবি, ওই সময় রাশিয়া ৭৩০টিরও বেশি বার হামলা চালিয়েছে, অন্যদিকে এই তিন দিনে ইউক্রেন ৪৮৮টি বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে।
Leave a comment