পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৩০ জন আহতের মধ্যে মৃত্যুু হয়েছে হাদিস প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তির।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুলাই) মৃত্যু হয় তার। এদিকে এ খবরে দুপুরে ওই এলাকার ৬-৮টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাদিস প্রামাণিক সাঁথিয়া উপজেলার তলট গ্রামের শুকুর প্রামাণিকের ছেলে। তিনি বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের জামাই। শ্বশুর এলাকাতেই বসবাস করতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে পাশাপাশি দুটি মসজিদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর ছিল।
বর্তমানে উপজেলার তারাপুর গ্রামে দুটি মসজিদ রয়েছে । একটি পুরনো মসজিদ ও আরেকটি নতুন মসজিদ নামে পরিচিতি। গত কয়েক বছর আগে পুরনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্মাণ করেন নতুন মসজিদ ।
সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে ভিন্ন আরেকটি পক্ষ আপত্তি জানায়। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ। এ সময় হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের প্রায় ২০০-২৫০ লোকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাদিস প্রামাণিক ছিলেন নতুন মসজিদের পক্ষের সমর্থক। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছানোর পর উত্তেজিত লোকজন প্রতিপক্ষের (পুরোনো মসজিদের সমর্থকদের) অন্তত ৬/৮টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। বেড়া মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ওলিউর রহমান বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যুর পর গ্রামে ফের সহিংসতা ছড়ায়। কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ।
Leave a comment