পাকিস্তানে বেলুচিস্তানের কালাত জেলার নিয়ামুরঘ ক্রস-এর কাছে করাচি থেকে কোয়েটা অভিমুখে চলমান একটি যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে অন্তত তিনজন ও আহত হয়েছেন সাতজন ।
বুধবার (১৬ জুলাই) এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, আহতদের কালাত জেলা সদর হাসপাতাল (ডিএইচকিউ)-এ স্থানান্তর করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলেছে।
হামলার পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য জানা না গেলেও, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। করাচি-কোয়েটা মহাসড়কে (বিশেষ করে বেলুচিস্তানের সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে) এ ধরনের সহিংসতা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ও নিরীহ যাত্রীদের হত্যায় গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি একে ‘নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের ওপর জঘন্য হামলা’ বলে অভিহিত করে বলেন, অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি একে ‘কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘আগে সন্ত্রাসীরা পরিচয় যাচাই করে টার্গেট করত, এখন তারা নির্বিচারে সাধারণ মানুষকেই লক্ষ্যবস্তু করছে। এটি প্রতিটি সাধারণ পাকিস্তানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয় এবং আমরা যেকোনো মূল্যে তা পরাজিত করব।’
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি এ হামলার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘ফিতনা-আল-হিন্দুস্তান’-কে দায়ী করে বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে তারা, যাতে দেশের শান্তি বিঘ্নিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-প্রশিক্ষিত এই সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সরকার ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করবে।’ সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহও হামলাটিকে “নৃশংসতা” বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্য করে হামলা করা একটি ভয়াবহ অপরাধ এবং পাকিস্তানের মাটিতে এ ধরনের সন্ত্রাসীরা ক্যানসারের মতো।
Leave a comment