পাকিস্তানের চারটি প্রদেশে গত দুই দিনে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩২ জনের। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা।
খাইবার পাখতুখওয়া
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, শুক্রবার ভারি বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় ১৭ জন এবং শনিবার মৃত্যু হয়েছে আরো ২ জনের।
চারসাদ্দা জেলায় পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেলে এক ব্যক্তি ভেসে যান। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাংলা জেলার ঢোক এলাকায় ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে এক নারীর।
প্রদেশজুড়ে সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে ছয়টি বাড়ি এবং অন্তত ৫০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাঞ্জাব
শনিবার প্রদেশটিতে ভারি বৃষ্টির সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তিন শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
জরুরি বিভাগের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঘরের ছাদ ধসে পড়ার কারণে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
বেলুচিস্তান
যহোব এলাকায় পাহাড়ি ঢলে একটি পরিবারের তিন নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারটি কোয়েটা থেকে মুলতান যাওয়ার পথে পিকনিক স্পটে বিরতি নিয়েছিল।
এ সময় প্রবল ঢলে ভেসে যান তারা । আধা সামরিক বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল একজন নারী ও গাড়িচালককে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও বাকিদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সিন্ধু
করাচি শহরে শনিবার পৃথক দুটি ঘটনায় মারা গেছেন চারজন। এদের মধ্যে দু’জন ঘরের ছাদ ধসে এবং অপর দু’জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত আরো ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে হিমবাহ গলে তৈরি হওয়া হ্রদ উপচে দেখা দিতে পারে বন্যা।
সূত্র: ডন নিউজ
Leave a comment