কুষ্টিয়া শহরের হরিশঙ্করপুর এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মামুন নামে এক যুবক । পরে তাদের দুই শিশুকন্যাকে আছড়ে হত্যাচেষ্টার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মামুনের পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, মামুনের স্ত্রী মেঘলা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। কিছুদিন আগে মেঘলা বাড়ি থেকে প্রেমিকের কাছে চলে গিয়েছিল। পরকীয়ার জের ধরে মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এর জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে এবং কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মামুন। পরে দুই কন্যা শিশুকে আছাড় মারে এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হয়। এরপর মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় ও গলায় কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
মামুনের স্বজন ও স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করেন। অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের সময় স্ত্রী মেঘলা খাতুন মারা যান। মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন মামুন ও তার দুই কন্যা।
এ বিষয়ে মামুনের মা সুফিয়া বেগম বলেন, পরকীয়ার কারণে মেঘলার সঙ্গে মামুনের পারিবারিক কলহ হত। এর আগে সংসার ছেড়ে মেঘলা আরেক জায়গায় চলে গিয়েছিল। দুই দিন আগে মেঘলাকে ফিরিয়ে এনেছে। আজকেও নাকি বউ মোবাইলে কার সঙ্গে কথা বলছিল। ছেলে তা হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর বউ ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারপিট করে গুরুতর আহত করে , মামুন নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। মেঘলার মৃত্যু হয়েছে, বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ধারালো কিছু দিয়ে তিনজনকেই মাথায় আঘাত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শিশু দুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে লেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a comment