নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচ. এম. মোস্তাফিজুর রহমানকে, এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সোমবার (২৬ মে) বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে , শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ, দাখিলকৃত প্রমাণাদি, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ, এবং আইনানুগ মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটির পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগের জবাবও সন্তোষজনক না হওয়ায় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধির আলোকে নেয়া এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে শোকজ করে। অভিযোগ ছিল, শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে পরবর্তীতে প্রতারণা করেন।
ছাত্রীটির অভিযোগ, ২০২২ সালের শেষ দিকে মানসিক চাপে তাঁকে প্রেমে রাজি করানো হয়। এরপর কয়েক দফায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষক অন্য একজনকে বিয়ে করেন। অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থী লেখেন, “শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আমার মায়ের নম্বরে ফোন দিয়ে বলেন, পৃথিবীর সব সুখ আমি আপনার মেয়েকে দেব, কোনো স্বামী দিতে পারবে কিনা জানি না।”
শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ২০২৩ সালের মার্চে দেশে ফিরে এসে তাঁর আশপাশে থাকার আগ্রহ জানান, একপর্যায়ে তাঁকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে গিয়ে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি, যার সঙ্গে পূর্বে থেকেই তাঁর সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী ছাত্রী।
ঘটনার পর ৩০ অক্টোবর সব ধরনের দায়িত্ব থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ৬ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখন তদন্ত শেষে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে ।
Leave a comment