ঢাকার আজিমপুর চৌরাস্তা এলাকায় ট্রাফিক ডিউটিতে থাকা নারী পুলিশ সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে তাৎক্ষণিক এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ওয়াহিদ মোহাম্মদ শুভ (৩০) এবং তাঁর সঙ্গী আরাফাত রহমান অভি (২৮)।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আজিমপুর চৌরাস্তায় হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানোয় শুভকে থামান দায়িত্বে থাকা নারী সার্জেন্ট। তিনি শুভর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় শুভ ও অভি দুইজনই কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানান এবং সার্জেন্টের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। তাঁরা বলেন, “হলে গিয়ে কাগজ আনতে হবে,” যা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে স্পষ্ট দুর্ব্যবহার হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নারী সার্জেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে লালবাগ বিভাগের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানকে বিষয়টি জানান। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুজনকে আটক করেন এবং পরে লালবাগ থানার সহায়তায় তাঁদের থানায় পাঠানো হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার নারী সার্জেন্ট ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীর উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত বিচার প্রক্রিয়ায় দুই আসামিকে এক দিন করে কারাদণ্ড দেন ম্যাজিস্ট্রেট। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে সাত দিন করে অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশও দেন তিনি।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। আইন ভাঙলে এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য এই রায়কে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মর্যাদা রক্ষা এবং নারী কর্মকর্তাদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
Leave a comment