জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১০০টি আসন বরাদ্দের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। তবে এসব আসনে সরাসরি নির্বাচন নয়, বরং বিদ্যমান সংরক্ষিত পদ্ধতির মাধ্যমে নারী সাংসদ মনোনয়নের পক্ষে দলটি। সোমবার রাজধানীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সালাহউদ্দিন বলেন, “সংসদে ১০০ নারী আসনের পক্ষে বিএনপি। তবে এসব আসনে সরাসরি নির্বাচন নয়, বর্তমান সংরক্ষিত আসনের মতো পদ্ধতিতেই নির্বাচন হওয়া উচিত। এ বিষয়ে আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত পরিষ্কার।” তিনি আরও বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বিএনপি সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সমাজে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন, তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় সংসদের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম। তবে সে উচ্চকক্ষ গঠনের পদ্ধতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি।”
এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় সংসদের কাঠামোগত সংস্কার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নারী আসন বৃদ্ধি, উচ্চকক্ষ গঠনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে নারী আসনে কোন পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্ব হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।”
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমানে জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যেগুলোর সদস্য মনোনীত হন নির্বাচিত এমপিদের ভোটে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সরাসরি নির্বাচন না হওয়ায় নারী প্রতিনিধিত্ব কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে সরাসরি নির্বাচন নয়, সংরক্ষিত পদ্ধতিতেই নারী আসন দ্বিগুণ করার প্রস্তাবকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
নারীর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে কমিশনের আলোচনাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। আলোচনা চলমান থাকলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
Leave a comment