নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গৃহবধূ শান্তা হত্যা মামলায় আদালত স্বামী আমিরুল ইসলাম বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম বাবু (৩০) সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।
পুলিশ মামলার বিবরণে জানায়, ২০১৭ সালে সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকার আমিরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই এলাকার সুলতানা আক্তার শান্তার। পরে তারা বন্দর উপজেলার রাজবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হত।
এর জের ধরে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুতা দিয়ে আঘাত করে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে স্বামী আমিরুল ইসলাম বাবু। পরে শান্তার মরদেহ কম্বল দিয়ে মুঁড়িয়ে গুমের চেষ্টা করে। ২৯ ডিসেম্বর সকালে শান্তার মরদেহ উদ্ধার হলে তার বাবা আব্দুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে ওই দিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ আসামি আমিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন।
আবুল কালাম আজাদ ( আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) জানান, এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামি আমিরুল ইসলাম বাবুকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
Leave a comment