নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আটজন নিহতের ঘটনায় র্যাব অভিযুক্ত ট্রাকচালক মহির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা নাটোর সদর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতার করেন। র্যাব রাতেই তাকে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করে।
এর আগে, বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ নিহত হন আটজন।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ এলাকার জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), বোন রোউসনারা আক্তার ওরফে ইতি (৪৮), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫), চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৫০), শাশুড়ি আনজুমান খাতুন (৬৫) ও শ্যালিকা সীমা খাতুন (৩৫) এবং মাইক্রোবাসচালক রুবেল হোসেন (৪২)। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাব ট্রাকচালককে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, জাহিদুল ইসলামের ছেলে কুয়েতপ্রবাসী সোহানুর রহমান । সোহানুরের স্ত্রী সাফিয়া বেগম সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে দেখতে জাহিদুল ইসলাম স্বজনদের নিয়ে মাইক্রোবাসে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন।
সকাল ১০টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। মাইক্রোবাসের আট আরোহীর মধ্যে ঘটনাস্থলে নিহত হন পাঁচজন। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় দুজনের।
Leave a comment