নড়াইল সদর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে মাধবী বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকা থেকে বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাধবী বিশ্বাস সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের হীরামণ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী এবং কালিয়া উপজেলার শুক্ত গ্রামের অরবিন্দু বিশ্বাসের মেয়ে। তার স্বামী হীরামণ বিশ্বাস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবী ঘটনার পর থেকে পলাতক।
জানা যায়, প্রায় ১৮ বছর আগে মাধবীর সঙ্গে বিয়ে হয় হীরামণ বিশ্বাসের । তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। প্রায় সাত-আট মাস আগে দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবীকে বিয়ে করে ঘরে তুলে আনে হীরামণ। এরপর থেকেই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত।
বুধবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। হীরামণ বিকেলে তার চাচাতো ভাই মিঠুনকে ফোন করে জানান, তিনি ছোট বউকে বাবার বাড়িতে দিয়ে আসছেন। যাওয়ার আগে বড় বউকে একটু মারধর করেছেন। বাড়িতে গিয়ে যেন দেখে, সে গলায় ফাঁস নিয়েছে কিনা।
নিহতের ফুফাতো ভাই শ্মশান বিশ্বাস বলেন, হীরামণ আমার বোনকে নিয়মিত মারধর করত। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে সে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এদিকে মাধবীকে ‘হালকা মারধরের’ কথা স্বীকার করলেও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হীরামণের পরিবারের সদস্যরা। মাধবী আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের দাবি।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
Leave a comment