চরম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের মধ্যে গাজাবাসীরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কোনোরকমে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন । যেখানে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আল্লার সন্তুষ্টি অর্জনের ব্যাপক আয়োজন চালাচ্ছে, সেখানে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পথ খুঁজছেন গাজাবাসী। দখলদার ইসরায়েলি সেনারা ঈদের দিনেও হামলা বন্ধ রাখেনি। কোনরকম নামাজ শেষ করে গাজাবাসীরা শুনতে পেল ইসরায়েলি হামলার নতুন হুঁশিয়ারি।
শুক্রবার (৬ জুন) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের মাঝে ঈদের প্রার্থনায় অংশ নেয় গাজার পুরুষ ও শিশুরা। তবে ঈদের দিনটিতেও সেখানে খাবার ও নিরাপত্তার তীব্র সংকট চলেছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে নামাজ শেষে কামেল এমরান বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঈদ এটা । গাজাবাসীর সবকিছু কেড়ে নিয়েছে এই অন্যায় যুদ্ধ । খাবার নেই, ময়দা নেই, মাথার ওপর ছাদ নেই, মসজিদ নেই, ঘর নেই, এমনকি বিছানাও নেই। ভয়াবহ কঠিন অবস্থা।
এদিকে ইসরায়েল নতুন করে জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর গাজায় তারা শিগগিরই তীব্র সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। এর আগে তারা অভিযোগ করেছিল, ইসরায়েলের দিকে ওই অঞ্চল থেকেই রকেট ছোড়া হয়েছে।
গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সহায়তা ঢুকতে পারলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে, লুটপাট ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব সঠিকভাবে বিতরণ করতে পারছে না তারা।
Leave a comment