মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি সই নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুমকি দিয়েছেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, তেহরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো হবে। পাশাপাশি ইরানসহ যেসব দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে, পাল্টা জবাব দিয়ে খামেনি বলেছেন ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি তারা (ইরান) কোনো চুক্তি না করে, তাহলে বোমাবর্ষণ হবে। এবার এমন বোমাবর্ষণ হবে, যা তারা আগে কখনো দেখেনি। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এমন আশঙ্কাও আছে, যদি তারা (ইরান) চুক্তি না করে, তাহলে আমি তাদের ওপর চার বছর আগের মতোই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।’
তবে তেহরান বলেছে, তাদের নীতি হলো, সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ না নেওয়া।
এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রুশ ও ইরানি পণ্যের ক্রেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। তিনি গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার তেল ক্রেতাদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমোদন দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।
পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে যে উচ্চস্তরের বিশুদ্ধতা পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গোপন এজেন্ডা রয়েছে ইরানের। তবে তেহরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক শক্তির জন্য।
ট্রাম্পের হুমকির জবাবে গতকাল সোমবার খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা চালায়, তবে তাদের কঠোর জবাব পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুই মাসের মধ্যে চুক্তি করতে ইরানকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় মধ্যস্থতা করা সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে গতকাল তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেকোনো হুমকির প্রতি সিদ্ধান্তমূলক ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তেহরানের সংকল্প দৃঢ়।
Leave a comment