জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা জোবায়েদ হোসেনকে ত্রিভুজ প্রেমের জেরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে । পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, হত্যার মূল প্ররোচনা এসেছে টিউশনির ছাত্রী বার্জিস শাবনম বর্ষার থেকে।
ডিএমপির লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী জানিয়েছেন, ছুরিকাঘাতের পরও জোবায়েদ বাঁচাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু বর্ষার হাতে নির্মিত মৃত্যুকাহিনির সামনে তার জীবন শেষ হয়। জোবায়েদের শেষ কথাটি ছিল, “আমাকে বাঁচাও,” এবং বর্ষার উত্তর ছিল—“তুমি না মরলে আমি মাহিরের হতে পারব না।”
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ষা ও তার প্রাক্তন প্রেমিক মাহির রহমান, মাহিরের দুই বন্ধু ফারদিন আহমেদ ও আইলানের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার নীলনকশা রচনা করেছিলেন। হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রোববার বিকেলে বর্ষার বাসার পথে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ও প্রতিবাদ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চালান। ডিএমপি জানায়, ঘটনার রাতেই বর্ষা গ্রেপ্তার হন, পরে মাহির ও তার দুই সহযোগীকেও ধরা হয়। অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “এ ঘটনায় রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই; এটি নিছক ত্রিভুজ প্রেমের করুণ পরিণতি।”
নিহত জোবায়েদ হোসেন ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি।
Leave a comment