ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবারও শাস্তির কবলে পড়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের আউটের পর বিরক্তি প্রকাশ করায় হৃদয় এক ডিমেরিট পয়েন্ট ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি পেয়েছেন। ম্যাচের ৫৪ বল খেলে ৩৭ রান করার পর শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে কিছু বলায় আম্পায়ারের নজরে পড়েন হৃদয়।
এ ঘটনার জন্য ম্যাচ শেষে তাঁকে শুনানিতে ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। এরপর ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তাঁকে লেভেল-১ শাস্তির আওতায় আনেন। নিয়ম অনুযায়ী, এই পর্যায়ের শাস্তির বিরুদ্ধে কোনো আপিলের সুযোগ নেই।
তাওহিদ হৃদয়ের বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। পরে সংবাদমাধ্যমে ‘মুখ খুলবেন’ বলে হুমকি দেওয়ায় তাঁর নিষেধাজ্ঞা আরও এক ম্যাচ বাড়ানো হয়। এই দুই দফা শাস্তি নিয়ে লিগে কম নাটক হয়নি। এখন নতুন করে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হওয়ায় আগের সাত পয়েন্টের সঙ্গে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটে। নিয়ম অনুযায়ী, আট ডিমেরিট পয়েন্ট হলে কমপক্ষে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তবে প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি — সুপার লিগের শেষ রাউন্ডে, যেখানে আগামী মঙ্গলবার আবাহনীর বিপক্ষে ‘অঘোষিত ফাইনাল’ খেলবে তারা। হৃদয়ের নতুন নিষেধাজ্ঞা এ ম্যাচের ওপর প্রভাব ফেলবে কি না, তা জানতে যোগাযোগ করা হলে টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান নাজমূল আবেদীন কোনো সাড়া দেননি।
সাম্প্রতিক এই শাস্তির পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বারবার হৃদয়ের আচরণ কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের মতে, মাঠে আবেগ প্রকাশের জন্য শাস্তির ধরন ও মাত্রা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। তবে আপাতত মোহামেডান শিবিরের সবচেয়ে বড় চিন্তা — সুপার লিগের শেষ ম্যাচে হৃদয়কে পাওয়া যাবে কি না।
Leave a comment