জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত মো. হাসানের মরদেহ আজ শনিবার সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ গ্রহণ করা হয় এবং যথাযথ আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহীদ মিনারে নেওয়া হচ্ছে জানাজার উদ্দেশ্যে।
শহীদ হাসানের প্রথম জানাজা রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে জাতীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। জানাজায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে, যেখানে তার মা ও পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
হাসান ছিলেন জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে প্রথম সারির এক তরুণ সৈনিক। গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা সিএমএইচে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল। অবশেষে তাকে নেয়া হয় পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর।
হাসানের মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সহযোদ্ধা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তার দাফনকার্য পরিচালনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন নোয়াখালী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় এই তরুণ যোদ্ধার ত্যাগকে স্মরণ রেখে শহীদ মিনারে জানাজা ও বিদায়ী শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a comment