রাজধানীর সূত্রাপুরে গভীর রাতে একটি বাসায় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের পাঁচজন। এর মধ্যে শিশু, কিশোর ও নারীসহ পরিবারের সবাই দগ্ধ হন ঘুমন্ত অবস্থায়। বর্তমানে সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, এবং প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সূত্রাপুরের কাগজি টোলা এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায়। সেখানে এককক্ষে বসবাস করতেন রিকশাচালক মো. রিপন পেদা (৩৫) ও তাঁর পরিবার। আগুনে দগ্ধ হন রিপনের স্ত্রী মোছা. চাঁদনী (২৪), দুই ছেলে তামিম পেদা (১৬) ও রোকন পেদা (১৪) এবং এক বছর বয়সী কন্যাশিশু আয়েশা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধ পাঁচজনেরই শরীরের বড় অংশ পুড়ে গেছে। রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫ শতাংশ, তামিমের ৪২ শতাংশ, রোকনের ৬০ শতাংশ এবং শিশু আয়েশার শরীরের ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিবারটির আত্মীয় জাকির হোসেন জানান, আগুন লাগার সময় পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেননি। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। আগুন কীভাবে লাগল, তা এখনও জানা যায়নি।
দগ্ধ মো. রিপনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে সূত্রাপুরে বসবাস করছিলেন।
সূত্র: জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
Leave a comment