কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং স্থানীয়দের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়াতে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই হামলার ঘটনায় পথচারী শিশু, কিশোরসহ অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ওসামা বিন হোসাইন নামের এক যুবক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন শামসু উদ্দিন (৩৫), মো. ইব্রাহিম (১৬), তামান্না (১৩), নুর কামাল (৯), সোহেল (৩০), ফয়েজ উদ্দিন (১৮) ও মো. শফিক (৫০)। এদের মধ্যে নুর কামাল প্রতিবন্ধী শিশু, যার মাথায় গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে। আহতদের প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত শামসু উদ্দিন বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলাম, তখনই ওসামা গুলি চালায়। কেন গুলি করল বুঝতে পারিনি।’ আহত ফয়েজ উদ্দিনের মা আকতার বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুলি আর ছুরি মেরে আহত করেছে ওসামা ও তার লোকজন। আমি এর কঠোর বিচার চাই।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওসামা এলাকায় অস্ত্র হাতে ঘোরাফেরা করছেন এবং নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আজকের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। গুলির শব্দে মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, অভিযুক্ত ওসামা বিন হোসাইনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলার পর এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a comment