ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের নামে দায়ের করা ফ্ল্যাট জালিয়াতি মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলার অন্যতম আসামি খসরুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর রুল জারি করা হয়েছে।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করবে বলে জানিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট জালিয়াতির মামলায় হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তা আমরা গ্রহণ করছি না। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে বাংলাদেশে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভুয়া দলিলের মাধ্যমে অন্যের নামে স্থানান্তর করার অভিযোগে দুর্নীতির মামলা হয়। মামলায় বলা হয়, টিউলিপের স্বাক্ষর ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। এই ঘটনায় খসরুজ্জামানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় যায়। তবে খসরুজ্জামান মামলাটি স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদনে তিন মাসের জন্য কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ লেবার পার্টির সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। মামলাটি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনার জন্ম দেয়। বিষয়টির গুরুত্ব ও বিদেশি সম্পৃক্ততার কারণে দুদক দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কী ধরনের যুক্তি তুলে ধরা হবে, সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক। আইনজীবীরা বলছেন, মামলার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচারিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া উচিত ছিল, কারণ এতে জালিয়াতির স্পষ্ট আলামত রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
মামলাটি আপাতত স্থগিত থাকলেও এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে আইনজীবী মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। আদালতের পরবর্তী আদেশের দিকেই এখন নজর সবার।
Leave a comment