থাইল্যান্ডের ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী আত্থাপর্ন বুনমাকচুয়াই নামের এক ব্যক্তি। নিজ বাড়ির বাথরুমে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ১১ ফুট লম্বা একটি পাইথনের কামড়ে তার গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়। গুরুতর রক্তক্ষরণে তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।
ঘটনাটি ঘটে যখন আত্থাপর্ন সকালের বেলা টয়লেট ব্যবহার করছিলেন। হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব করে তিনি নিচে তাকিয়ে দেখেন, পাইথনটি তার গোপনাঙ্গে চেপে ধরেছে। আতঙ্কিত হয়ে তিনি সাহায্যের জন্য স্ত্রীকে ডাকেন এবং মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে সাপটির মাথায় দড়ি বেঁধে টয়লেটের দরজার সঙ্গে বেঁধে দেন, যাতে সাপটি পালাতে না পারে।
পরবর্তীতে জরুরি সেবাদানকারী কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় রোগীর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিল, তবে দ্রুত চিকিৎসার ফলে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন আত্থাপর্ন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, উদ্ধারকারী দল টয়লেটের পাইপলাইন ভেঙে সাপটিকে বের করে আনতে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত সাপটিকে ব্যাগে ভরে নিরাপদে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, পাইথনটি টয়লেটের পাইপ বেয়ে উঠে আসে। এমনকি চাচোেংসাওয়ের কাছাকাছি চনবুরি অঞ্চলে আরও একটি অনুরূপ ঘটনা ঘটে, যেখানে নারীর টয়লেট ব্যবহার করার সময় প্রায় ১৪ ফুট লম্বা একটি পাইথন হঠাৎ বেরিয়ে আসে। তবে ওই নারী দ্রুত টয়লেট থেকে লাফিয়ে উঠে যাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
ঘটনার ভয়াবহতা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের তাদের বাড়ির পাইপলাইন এবং টয়লেট নিয়মিত পরিস্কার ও পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন, বিশেষ করে বর্ষাকালে, যখন সাপের চলাচল তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
আত্থাপর্ন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন এমন দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়িতে সাপ নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
Leave a comment