জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনা করেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গত জুলাই-আগস্ট মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার গ্রেফতার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করতে হবে।” তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচারখাতে সংস্কারের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। তদন্তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯ জুলাই এক বৈঠকে শেখ হাসিনা আন্দোলনের সমন্বয়কদের গ্রেফতার, হত্যা ও গুম করার নির্দেশ দেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘কোর কমিটি’, যা ২০ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈঠক করতে থাকে।
Leave a comment