জামালপুর শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় সরকারি পুকুর থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরে নিয়ে গেছেন বিএনপির এক নেতা। আজ শনিবার ভোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় প্রাঙ্গণের ওই পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরেন তিনি ও তাঁর সহযোগীরা।
অভিযুক্ত নেতা এস এম আপেল মাহমুদ জামালপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে আপেল মাহমুদ ১০-১২ জন জেলেকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে জাল ফেলেন। খবর পেয়ে পাউবোর কর্মকর্তারা গিয়ে তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তাঁদের শাসিয়ে মাছ ধরা চালিয়ে যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাউবোর কর্মকর্তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। জামালপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আশরাফ জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন, মাছ ধরা শেষ হয়ে গেছে এবং জাল ভ্যানে তোলা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে পাউবো কর্মকর্তাদের সম্মতিতে জাল ফেরত দেওয়া হয়।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, মাত্র তিন মাস আগে ওই পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া হয়েছিল, ফলে মাছ তেমন বড় হয়নি। পাউবো কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্তরা মাছ ধরে নিয়ে যান এবং তাঁদের শাসান। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, দলের কর্মীর অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত নেতা এস এম আপেল মাহমুদ দাবি করেন, তিনি নিজেই সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করেছেন এবং মাছ ধরা নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে, তবে পাউবো জানিয়েছে, ঈদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a comment