রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এক ভিডিও বার্তায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারকে সরিয়ে নতুন সরকার আনা জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে জি এম কাদের বলেন, দেশে এখন জানমালের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সাধারণ মানুষ শুধু আল্লাহর ভরসায় বেঁচে আছে। সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে, ফলে দেশ অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যদি তারা দেশ চালাতে না পারেন, তাহলে তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত। নতুন কেউ এসে যদি দেশ ভালোভাবে চালাতে পারে, তাহলে দেশের জনগণ উপকৃত হবে। যত তাড়াতাড়ি তারা চলে যায়, ততই মঙ্গল।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এই সরকার পুরোপুরি অকার্যকর। তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই, নিরপেক্ষতাও নেই। আমাদের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে—মিছিল-মিটিং করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি ইফতার আয়োজনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব?
তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের নিজস্ব কিছু ব্যক্তি ও দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যার ফলে সঠিক নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না। সরকারে না থেকেও তারা সব সুবিধা নিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ন্যায়সঙ্গত নয়, বলেন জি এম কাদের।
জি এম কাদের দাবি করেন, সংস্কারের নামে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল নিচ্ছে। ওনারা ক্ষমতায় থেকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতিকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছেন তিনি।
সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাঁরা অত্যন্ত বিদ্বান, তবে বাস্তব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশে রাষ্ট্র ও রাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হয়, সে সম্পর্কে ধারণার অভাব রয়েছে। ফলে তাঁদের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত হবে না।
জি এম কাদেরের এসব বক্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Leave a comment