চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামে ছেলেকে বিদেশে যাওয়ার টাকা না দেওয়ায় দিনমজুর স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পৈশাচিকভাবে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ডিবি পুলিশ স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে।
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঝাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।
আসামির স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, স্বামী মনিরুল ইসলামের নামে বেশকিছু টাকা ছিল ব্যাংকে। ছেলে রাজুকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ওই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ছেলেকে দেওয়ার জন্য স্বামীকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন স্ত্রী পাপিয়া খাতুন। মনিরুল ইসলাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামী মনিরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পরই কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি দল বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার ঝাঁশবাড়িয়া গ্রাম থেকে নিহত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়। আলামত হিসেবে পুলিশ, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া ও কুড়াল উদ্ধার করেছে।
Leave a comment