ঢাকার গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় কৃষক লীগের ভাটারা থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ওরফে রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গুলি চালান মিজানুর রহমান। গুলিতে জব্বার আলী নামের এক ভ্যানচালক আহত হন, যার ডান পায়ে গুলি লাগে। ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ এবং তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি মিলিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি বিশেষ দল অভিযুক্তকে শনাক্ত করে।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সালাম বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর রহমান গুলি চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন এবং বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে, যার শুনানি হবে আগামী ১৭ জুন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের একটি প্রভাবশালী অংশের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন (বাবুল)–এর ক্যাডার বাহিনীর সক্রিয় সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় গুলি চালানো ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এসেছে।
মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে গুলশান, ভাটারা ও বাড্ডা থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাঁকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a comment