রাজবাড়ীর পাংশায় মুকুল মন্ডল নামের এক যুবককে চোখ-মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার বাম হাতের নখ তুলে নেয় ।
বুধবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ মুকুলকে উদ্ধার করে। এর আগে বুধবার বিকেলে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাঁতি গ্রামে ওই যুবককে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
আহত ওই যুবক বর্তমানে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবন নালা গ্রামের বিশু মন্ডলের ছেলে।
মুকুল মন্ডলের স্বজনেরা জানায়, বিকালে মুকুল চরহরিণাডাঙ্গা স্কুল মাঠে বসে ছিলো। ওই সময় ৪টি মোটরসাইকেলে ৮-১০ জনের একদল এসে চোখ-মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে তেলিগাঁতি গ্রামে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও প্লাস দিয়ে টেনে হাতের নখ উপরে ফেলে। বেধড়কর মারধরের পর মুকুলকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টা দিকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কুতুব আহমেদ জানান, আহত যে রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও বাম হাতের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শ্রীবাস গাইন ( পাংশা মডেল থানার এস আই ) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সে পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত চলছে এ বিষয়ে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a comment