আপিল বিভাগ , একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির তারিখ বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করেছেন।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ অন্যরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
গত ১ জুন আপিল বিভাগ এ মামলায় তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর আগে মামলায় সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।
আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অধস্তন আদালত যে বিচার করেছিলেন হাইকোর্ট তাকে অবৈধ ঘোষণা ও বাতিল করে রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়। এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। ফলে এ মামলায় অধস্তন আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পান।
রায়ে আদালত বলেন, ‘দ্বিতীয় চার্জশিট (সম্পূরক অভিযোগপত্র) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিবর্তে বিচারিক আদালত আমলে নিয়েছেন। এটা আইনবহির্ভূত। আইনবহির্ভূত চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন থেকে শুরু করে এ মামলার পরবর্তী বিচার কার্যক্রম ছিল অবৈধ।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনার তদন্তকে ভিন্ন খাতে নিতে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার নানা তৎপরতা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা দুটি নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে সিআইডি অভিযোগপত্র দেয় । পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
Leave a comment