ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের অক্টোবর ২০২৩ এর হামলার ফলাফলকে যথাযথভাবে অনুমান করতে ব্যর্থতার অভিযোগে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বার’কে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বরখাস্ত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোনেন বার’কে সর্বসম্মতিক্রমে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই পদক্ষেপের পেছনে রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে ‘অবিশ্বাস’ ও ‘অসন্তোষের’ অভিযোগ উথ্থাপিত হয়।
২০২১ সালের অক্টোবরে রোনেন বার শিন বেতের প্রধান হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। আর ১৯ দিন পর ১০ এপ্রিল তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। রোনেন বারের সঙ্গে ‘অবিশ্বাসের’ সম্পর্কের অভিযোগ এনে রোববার এক বিবৃতিতে তাকে বরখাস্ত করার বিষয়ে ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। এদিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন রোনেন বার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন। হামলার পর থেকে বন্দি হিসেবে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়, যার মধ্যে অনেককে মুক্তি দেওয়া হলেও এখনও ৫৯ জন বন্দি রয়েছেন, যার অর্ধেক জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৪৮,৫২০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নি’হত হয়েছেন। ২১ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি আনুমানিক ৭০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়া, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার অবস্থা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত, ফলে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি হামলার পর রোনেন বার’কে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গভীর প্রতিফলন সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতির জটিলতা এবং সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে এই পদক্ষেপের প্রভাব আগামীদিনে আরও বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
Leave a comment