গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামানো হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য। বুধবার রাতে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিকেলে গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সহিংসতা শুরু হয়। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি গাড়িবহরে হামলা চালায়। শহরের দুই পাশ থেকে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এনসিপি নেতারা গাড়িতে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। এ হামলার ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। একাধিক স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে সেনা সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়। পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়। এরপর সন্ধ্যার পর বিজিবির চার প্লাটুন সদস্যদের শহরে মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
এনসিপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকারদলীয় সাবেক কর্মীদের নির্দেশেই এ হামলা সংঘটিত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগেই বন্ধ হয়ে গেছে, রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পুনরায় অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র: বাসস
Leave a comment