গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনী বিলুপ্তি বা পুনর্গঠনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি এসব দাবি উত্থাপন করেন। আসন্ন ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবসকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
তুলির ঘোষিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুমের সব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শুরু, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি জাতীয় কার্যপ্রক্রিয়া গঠন, গুম থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ভুক্তভোগী পরিবারকে নিখোঁজ আত্মীয়ের আর্থিক ও সম্পত্তিগত বিষয়ে আইনি অধিকার প্রদান, সুরক্ষা কাঠামো প্রণয়ন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সংস্কার এবং গুমবিরোধী প্রস্তাবিত আইনকে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সানজিদা ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত প্রতিটি গুম ও হত্যাকাণ্ডের সত্য প্রকাশ করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা ভয় পাই না কোনো ব্যারাককে, কোনো সেনানিবাসকে। প্রতিটি সত্যকে সামনে আনব।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সানজিদা ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সমন্বয়ক মঞ্জুর হোসেন। এতে বক্তব্য দেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান এবং গুম–খুনের শিকার পরিবারের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধন শেষে ‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রদর্শনীতে গুম ও খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের বেদনাময় স্মৃতি ফুটে ওঠে।
‘মায়ের ডাক’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের আন্দোলন থামবে না যতদিন না গুম-খুনের দায়ীদের বিচার নিশ্চিত হয় এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অবসান ঘটে।
Leave a comment