আবারও আগুনের লেলিহান শিখা গাজার আকাশজুড়ে , ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজায় একদিনে ১৮৩ শিশু প্রা’ণ হা’রিয়েছে। একটি সংখ্যায় সীমাবদ্ধ থাকলেও, প্রতিটি সংখ্যা একেকটি স্বপ্ন, একেকটি ভবিষ্যৎ, যা চিরতরে নিভে গেলো। এই মর্মান্তিক হামলা শুধু শিশুদেরই নয়, বরং মানবিক সহায়তার জন্য গাজায় উপস্থিত জাতিসংঘের একজন কর্মীরও প্রাণ কে’ড়ে নিয়েছে। বুধবার জাতিসংঘের একটি ভবনে হামলায় তিনি নিহত হন, আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেইরা দা সিলভা এই হামলাকে একেবারে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছেন না। তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। জাতিসংঘ কর্মী এবং তাদের আশ্রয়স্থল অবশ্যই সুরক্ষিত থাকা উচিত।”
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ব সম্প্রদায় এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। তবে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে “আমরা হামাসের বিরুদ্ধে লড়ছি,” বলে হামলার ন্যায়সঙ্গততা দাবি করা হচ্ছে।
এই নির্মম ঘটনাগুলো গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে বারবার বেরিয়ে আসছে বাচ্চাদের নিথর ও রক্তাক্ত দেহ। হাসপাতালগুলোতে সংকট এবং মা-বাবার বুকচিরে কান্না ও হাহাকারের দৃশ্য, এক মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ—”আমার ছেলে কি কোনো সৈনিক ছিল? কেন ওর ছোট্ট দেহটা টুকরো টুকরো হলো? সবই ইঙ্গিত দেয় যে এই হামলা কেবল সামরিক একটি প্রক্রিয়া নয়, বরং মানবতার বিরুদ্ধে এক নিষ্ঠুর গণহত্যা।
গাজার এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী মানবিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করছে।
Leave a comment