মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস (রিজার্ভ) নোয়াম শেমেশ (২১)।
টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা গেছে, তিনি ইসরায়েলি কফির ব্রিগেডের শিমশন ব্যাটালিয়নের একটি স্কোয়াডের কমান্ডার ছিলেন এবং জেরুজালেমের বাসিন্দা ছিলেন। গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) হামলায় শনিবার রাতে প্রাণ হারান তিনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই চলাকালে নিহত হন শেমেশ। ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে এ ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, একই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ডজনখানেক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হাইফার পূর্বে অবস্থিত আরব শহর তামরায় আঘাত হানে। সরাসরি আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় একটি দুইতলা আবাসিক ভবন।
একই পরিবারের ৪ নারী নিহত হয়েছেন এ ঘটনায় এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। নিহতরা হলেন মানার খাতিব ও তার দুই কন্যা হালা (২০) এবং শাদা (১৩), এবং তাদের এক আত্মীয় মনাল খাতিব।
শনিবার দিনভর অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকলেও ইরানের পাল্টা হামলা শুরু হয় রাত ১১টার কিছু পর থেকেই। ইসরায়েলের ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’ মোবাইল ফোনে দেশজুড়ে সতর্কবার্তা পাঠায়। তবে মূলত হাইফা ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বাজানো হয় ।
তৎক্ষণাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। অনেক ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ভূপাতিত করা সম্ভব হলেও জনবসতিতে আঘাত হানে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র । বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা আরও ভয়াবহ করে তুলছে পরিস্থিতিকে । গাজা, হাইফা, তামরা একাধিক ফ্রন্টে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সমগ্র অঞ্চলে।
Leave a comment