ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি থাকলেও ত্রাণ প্রবেশে সীমাবদ্ধতার কারণে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধা ও দুর্ভোগে কাতর হয়ে পড়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানাচ্ছে, জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে ইসরায়েলের সীমিত সীমান্ত খোলা ও বাধার কারণে ত্রাণ সরবরাহে বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ডব্লিউএফপির মুখপাত্র আবির ইতেফা মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু সীমান্ত সীমিত খোলা থাকায় এখনও যথেষ্ট পরিমাণে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। দ্রুতগতিতে খাদ্য সরানো জরুরি, শীত এসে যাচ্ছে এবং মানুষ ক্ষুধায় ভুগছে।”
তিনি আরও জানান, উত্তর গাজার প্রবেশপথ এখনও বন্ধ, যার ফলে ত্রাণ কাফেলাগুলোকে দক্ষিণ দিকের দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় ঘুরে যেতে হচ্ছে। কার্যকর বিতরণের জন্য সীমান্তের সব পয়েন্ট খুলে দেওয়া দরকার, বিশেষ করে উত্তর দিকের।
গাজার সরকারি তথ্য অফিসের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩,২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ গড়ে দিনে মাত্র ১৪৫টি। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক ৬০০টি ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজাজুড়ে ৪৪টি স্থানে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তবুও খাবারের পরিমাণ এখনও সীমিত, বিশেষ করে উত্তর গাজায় পৌঁছানো কঠিন।
শীতের জন্য ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। আগস্টেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শনাক্ত করেছিল। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের প্রতি সীমান্ত খোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দ্রুত ত্রাণ সরানো না হলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
Leave a comment