ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অপুষ্টিতে মারা গেছে অন্তত ৬৬ শিশু, একজ বিবৃতিতে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর জানিয়েছে। তারা বলছে, দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা ঢুকতে না দেওয়া হল এই সংকটের প্রধান কারণ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা রোববার (২৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ।
দপ্তরটির দেওয়া বিবৃতির বরাতে শনিবার (২৭ জুন) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এই অবরোধ একটি যুদ্ধাপরাধ। এটি একপ্রকার ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত শিশু হত্যা, যেখানে না খেতে দিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যু নিশ্চিত করা হচ্ছে। গাজার শিশুদের ওপর চলমান এই অপরাধ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের লজ্জাজনক নীরবতা- উভয়ই মানবতার প্রতি চরম অবহেলার পরিচয়।
এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য গাজা কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলসহ তার পশ্চিমা মিত্রদের দায়ী করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকে দায়ী করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, তারা অবিলম্বে গাজার সব সীমান্তপথ খুলে দিতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে জানায়, ভয়াবহ গতিতে বাড়ছে গাজায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা । চলতি বছরের মে মাসেই তীব্র অপুষ্টিজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অন্তত ৫ হাজার ১১৯ শিশুকে ।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক এদুয়ার বেইগবেদার বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত ১৫০ দিনে ১৬ হাজার ৭৩৬ শিশু- অর্থাৎ দিনে গড়ে ১১২ জন শিশু- অপুষ্টির চিকিৎসা পেয়েছে। অথচ, এদের প্রতিটি ঘটনাই ছিল প্রতিরোধযোগ্য। খাদ্য, পানি, পুষ্টি- সবকিছুই সীমান্তে আটকে আছে। মানবসৃষ্ট সিদ্ধান্তের ফলেই এই মৃত্যু। অবিলম্বে সমস্ত সীমান্ত দিয়ে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে ইসরায়েলকে।
Leave a comment