গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৮২ ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে গাজা সিটিতেই ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রোববার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (৫ জুলাই) এক পরিসংখ্যানে জানায়, উপত্যকায় ইসরায়েলি ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ উদ্যোগ গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কেন্দ্রগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করার সময় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ হাজার ৮৯১ জন।
গত জুনের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে অভিযোগ আছে, ইসরায়েলি বাহিনী জিএইচএফ কেন্দ্রগুলোর আশপাশের স্থানে খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা থাকলেও মার্কিন প্রশাসনের দাবি, জিএইচএফ একমাত্র সংগঠন যারা গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এদিন হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রায় ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে, গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
সূত্র: আল জাজিরা
Leave a comment