ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় নিহত হয়েছেন আরো ৭২ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা রোববার (২৯ জুন) রাতের এক প্রতিবেদনে জানায়, দিনভর ইসরায়েলের একাধিক বিমান হামলায় গাজা শহর ও এর উত্তরাংশে বসবাস করতেন নিহতদের বড় অংশ । গাজার স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উত্তর গাজায় আল-আহলি হাসপাতালে আহতদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।
গাজা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মুয়াত আল-কালহুত বলেন, “জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওইয়া বাজার এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী টার্গেট করে বোমা হামলা চালিয়েছে । আহতদের অনেকেই শিশু। হাসপাতালগুলোর বেড ফাঁকা নেই, মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বহু মানুষ বা অপেক্ষা করছেন। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে সরতে বলেছে ইসরায়েল । অথচ সেই সতর্কতা জারি করার পরপরই ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয় সেখানে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সহায়তা নিতে গিয়েই প্রাণ হারাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা
রোববার নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, যারা একটি খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিতরণ কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি সংগঠন, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরাসরি সমর্থনপুষ্ট।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মে মাসের শেষদিক থেকে জিএইচএফ খাদ্য বিতরণ শুরু করলেও ইসরায়েলি সেনারা এসব কেন্দ্রের আশপাশে প্রায় নিয়মিত গুলি ছুঁড়ছে। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৫৮০ জন এবং আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি।
সূত্র: আল জাজিরা।
Leave a comment