পুলিশ , নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড় গারফা গ্রামের সাত বছর বয়সী শিশু আকলিমা আক্তার জুঁই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে । জিজ্ঞাসাবাদে আ’সামিরা গাঁজা সেবন করে জুঁইকে ধর্ষণের পর তার পরনের কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) পাবনার চাটমোহর থানায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান থানার ওসি মনজুরুল আলম।
আ’সামিরা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়ফা গ্রামের সোহেল রানা (২৫), শেখ সাদি (১৬), শাকিব (১৬), দিয়ার গাড়ফা গরমাটি গ্রামের সিয়াম (১৩) ও চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের আবদুল্লাহ (১৬)।
সংবাদ সম্মেলনে চাটমোহর থানার ওসি জানান, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে শিশু জুঁই তার দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে প্রতিবেশির আমবাগানে আম কুড়াতে যায় সে। তখন নজড়ে পড়ে বখাটে কিশোরদের। তারা তাকে ভুলিয়ে পার্শ্ববর্তী কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য মুখে এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আ’সামিরা পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করে খারাপ মেয়ে নিয়ে এসে আনন্দ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পেরে তারা শিশু জুঁইকে পেয়ে তাকে ধরে নিয়ে পা’শবিক নি’র্যাতন চালায়।
ঘটনার পর বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পরে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। আসামিদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদির কাছে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। তারপর থেকে তার কোন খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a comment