একদিন পিছিয়ে গেছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ । আগামী সোমবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার তিনি দেশে ফিরবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটি সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আমাদেরকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ৫ মে লন্ডন থেকে রওনা হয়ে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, দেশে ফেরার পথে কাতারে যাত্রা বিরতি করবেন খালেদা জিয়া। কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শনিবার (৩ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কাতারের আমিরের দেওয়া রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া।
তিনি আরও জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে চারজন মেডিকেল ক্রু থাকবেন। এছাড়া বেগম জিয়ার সাথে সফর সঙ্গী থাকবেন মোট ১৪ জন। কাতারের আমির গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়া ও আমেরিকায় থাকায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটির অনুমোদন পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পেতে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিপ প্রটোকল কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
লন্ডন থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে বেগম খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী হবেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম মালেক খান ও তার স্ত্রী।
এদিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজাকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ম্যাডামের বাসভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সবকিছু জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তবে তিনি কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য এ বছরের ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন তিনি লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবার ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
Leave a comment