খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে নেমে সান্তনু কর্মকার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী সান্তনু কর্মকার ২৩ ব্যাচের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। সান্তনু পুরান ঢাকার কর্মকার পাড়ার সুকুমার চন্দ্র কর্মকার ও শিল্পী কর্মকারের ছেলে।
নিহতের সহপাঠীরা জানায়, ক্যাম্পাসে জাহান আলী হল-সংলগ্ন পুকুরে বন্ধুদের নিয়ে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় সান্তনু। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
খবর পেয়ে আধা ঘণ্টা পর খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ৫ মিনিট অভিযান চালানোর পর সান্তনুর অচেতন দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার ( বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ) বলেন, পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই মৃত্যুর খবর শুনেছি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বলেন, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষার্থীর মরদেহ রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থী শান্তনু কর্মকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা।
Leave a comment