আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষ ভোর থেকেই ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে শহীদ মিনারের বেদি।
পেশায় ব্যবসায়ী ওমর সানি ও তার স্ত্রী মুন্নী আক্তার প্রতি বছরই তাদের সন্তানদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এবার তাদের সঙ্গে ছিল ১০ মাসের ছোট্ট মুনজেরিনও। ওমর সানি বলেন, সন্তানদের সঙ্গে এনে ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের গল্প শোনাই, যাতে তারা বাংলাকে হৃদয়ে ধারণ করে।
গত রাত ১২টা ১২ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাজনৈতিক দল, সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ হাজারো মানুষ শ্রদ্ধা জানায়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সকাল সাড়ে সাতটায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে সকল জাতিসত্তার মানুষ মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবেন, শিক্ষা নিতে পারবেন।
ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে এসেছেন। মতিঝিলের সরকারি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন তার ১১ বছর বয়সী কন্যা রাইদাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার যে ঐতিহ্য ও গুরুত্ব, তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, গণতন্ত্র একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাঙালি কখনো থেমে থাকে না।
দিনভর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছে। বেদনাবিধুর পরিবেশে কণ্ঠে গেয়ে উঠেছে সেই চিরচেনা গান— আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…
Leave a comment