কুষ্টিয়া শহরে এক ভাড়াবাসায় শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ৩৫ বছর বয়সী উর্মি খাতুন নামে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রানা খানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় রানা পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় পাঁচ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এই দম্পতি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করত এবং শহরের হাউজিং এফ ব্লকে একটি ভাড়াবাসায় বসবাস করছিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে উর্মিকে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী এখন পলাতক , তাকে আটক করতে আমরা তৎপর।”
নিহতের ভাই আবু সাইদ জানান, “রানা মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তির কারণে বিভিন্ন সময় জেলেও গিয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া-বিবাদ চলত।
শুক্রবার রাতে রানা আমার বোনকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমার বোনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। আমরা রানা খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও হত্যার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
Leave a comment