কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙিনায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হলো সকালের সূর্য। হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষা জায়গায় পাওয়া গেল একটি রক্তমাখা নবজাতকের মরদেহ, যেটি ছিল ‘প্রিম্যাচিউর’ বা গর্ভাবস্থার পূর্ণতা না পাওয়া অবস্থায় ভূমিষ্ঠ। স্থানীয় প্রহরী মজিবুর রহমান প্রথমে মরদেহটি দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।
পরে চান্দিনা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। তবে পুলিশ মরদেহটি থানায় না নিয়ে মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেয়। নবজাতকের বয়স আনুমানিক ৩০ সপ্তাহ বলে জানিয়েছেন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশি নির্দেশে নবজাতকটির মরদেহ হাসপাতালের বাগানে দাফন করা হয়েছে।
হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো নষ্ট থাকায় কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ফলে রহস্য থেকেই যাচ্ছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পেছনের মূল কারণ। ধারণা করা হচ্ছে, গোপনে গর্ভপাতের পর নবজাতকটিকে কেউ ফেলে গেছে হাসপাতাল আঙিনায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, হাসপাতালে এমন কোনো রোগীর রেকর্ড নেই যিনি সদ্য গর্ভপাত করেছেন বা প্রিম্যাচিউর প্রসবের শিকার হয়েছেন। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, বাইরের কেউ শিশুটিকে ফেলে গেছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করা হবে। হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একদিকে শিশুটির করুণ মৃত্যু, অন্যদিকে সমাজের এক অন্ধকার দিক আবারও সামনে এনে দিল এই ঘটনা।
Leave a comment