কলকাতা থেকে গ্রেফতার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয়।
- মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং
বিস্তারিত : ভারতের মেঘালয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে গ্রেফতার হওয়া চার বাংলাদেশি আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নেই। মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা মেঘালয়ের ডাউকি থানায় দায়ের হওয়া একটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান (মুক্তি), সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) এবং সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)।
ডাউকি সীমান্তে অক্টোবর মাসে ট্রাক চালকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে হামলা, হামলার উদ্দেশ্যে জমায়েত হওয়া, এক লক্ষ টাকার কম আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের মামলা করা হয়েছে।
বিধাননগর পুলিশের সহযোগিতায় মেঘালয় পুলিশ রবিবার কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি আবাসিক ফ্ল্যাট থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরপর তাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক নংরাং বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই চারজনের বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটি মামলায় অভিযোগ ছিল। ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া খবর সঠিক নয়। তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ফৌজদারি মামলার সাথে সম্পর্কিত।”
মেঘালয়ের স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, অভিযুক্তরা সিলেট থেকে পালিয়ে প্রথমে মেঘালয়ে আশ্রয় নেন। পরে তারা কলকাতার নিউটাউনের একটি আবাসনে চলে যান। পাঁচই আগস্টের পর থেকে তারা ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানা যায়।
মেঘালয় পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোতে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অবৈধ প্রবেশ ও ফৌজদারি অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে বিচার হবে বলে জানানো হয়েছে।
- মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং
Leave a comment