ইরানের হামলার প্রভাব কয়েক দিন ধরে খুব সীমিত ছিল, কিন্তু এবার ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে কয়েকটি স্থানে আঘাত হেনে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যাও কমে গিয়েছে, যা থেকে ধারণা করা যায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের সামরিক স্থাপনাও । বিষয়টি মাথায় রেখে যুদ্ধের কারণে দেয়া কিছু বিধিনিষেধও শিথিল করেছিলো ইসরায়েল সরকার।
তবে বৃহস্পতিবার সকালের হামলা প্রমাণ করেছে যে, এখনো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে ইরানের। ইরানের টার্গেটের মধ্যে পড়েছে দক্ষিণের বিরশেবা শহরের সোরোকা মেডিক্যাল সেন্টার, তেল আভিভের কাছের হোলোন শহর, আর রামাতগন শহর।
ইরান বলেছে, বিরশেবায় তাদের আসল লক্ষ্য ছিল হাসপাতালের পাশে থাকা সামরিক স্থাপনা।তবে ইসরায়েলের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল অভিযোগ করে বলেছেন, সোরোকা হাসপাতালকে ইচ্ছে করে টার্গেট করেছে ইরান।
ইসরায়েল প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা, জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর, সরকারি ভবন এমনকি আবাসিক এলাকাতেও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। ইরান বলছে, তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে , সুতরাং অন্যায়ের প্রতিবাদের মাধ্যমে আত্মরক্ষার অধিকার রাখে তারা।
সূত্র: বিবিসি
Leave a comment