অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের আস্থা পুনর্গঠন এবং টেকসই ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনায় প্রয়োজন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা—এই মর্মে আগামী দিনের সরকার পরিচালনায় বিএনপি একটি সাহসী ও দূরদর্শী পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আজ বুধবার দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বাজেট (২০২৫–২৬) বিষয়ক বক্তব্য রাখেন।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগেই সরকার গঠনের পর প্রথম ১৮০ দিনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনের আগে এমন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে থাকে। বাংলাদেশেও বিএনপি সে ধরনের একটি সংস্কৃতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
এই ৬ মাসের পরিকল্পনার ভিত্তিতে একটি অ্যাকশন-ওরিয়েন্টেড রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। বিএনপি জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের পর তারা যে সুনির্দিষ্ট খাতগুলোতে কাজ করবে, তা আগেভাগেই স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। যার মধ্যে প্রধান হবে কর্মসংস্থান অঙ্গীকার । জনগণের ক্ষমতায়নের দল হিসেবে বিএনপির প্রথম ও প্রধান অঙ্গীকার—কর্মসংস্থান সৃষ্টি। বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রথম এক কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন – বিএনপি’র প্রধান অঙ্গীকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি ।সরকার গঠন করলে এক কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মের সংস্থান করবে । বিএনপি অতীতে সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকাকালীন উন্নয়ন নীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল – ‘শ্রমঘন শিল্প স্থাপন করা’। পাশাপাশি উদ্বৃত্ত শ্রমকে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া। এতে করে মানুষের নতুন নতুন কর্মের সংস্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন , শুধু তা–ই নয় জনমানুষ এক শ্রমবাজার থেকে আরেক শ্রমবাজারে প্রবেশও করেছে। যেমন: পোশাকশিল্পের বিকাশের কারণে কৃষিনির্ভর গ্রামীণ শ্রমবাজার থেকে মানুষজন পোশাক কারখানার শহরের দিকে যেতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি, শহুরে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ শুরু হয়। এর সরাসরি প্রভাব আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে লক্ষ করা যায়।
Leave a comment